শাফিনের ভার্জিনিটি হারানোর গল্প ১
শাফিনের ভার্জিনিটি হারানোর গল্প ১
লেখক: সুইট সিক্সটিন।
মুন্সিগঞ্জের পদ্মার কোল ঘেসে এক বিশাল গ্রাম। সেই গ্রামের এক যৌথ পরিবার সর্দার বাড়ি। সর্দার বাড়িতে সব সময় কলহ ক্যাচকেচি লেগে থাকলেও তারা যৌথ পরিবার। এই বিশাল বাড়িতে একসঙ্গে অনেক লোকজনের বাস। আর এই বাড়িতে সবচেয়ে বেশি যার হুকুম চলে আর যার কথায় সব কিছু হয়, তিনি হলেন গোলাপ জান, এ বাড়ির সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য। তার উপরে এ বাড়িতে কেউ কথা বলতে পারে না, তিনি যা বলবেন তাই শেষ কথা। আর এ বাড়িতে তার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাক্তি হলো শাফিন, মানে তার সবচেয়ে ছোট নাতি। শাফিন এবার ক্লাস ফোরে পড়ে। ফোরে পড়লেও শাফিন অনেক চঞ্চল আর দূরন্ত। এক সেকেন্ড ও স্থির থাকতে পারে না, কিছু না কিছু করেই চলেছে। তার দূরন্ত আর চটপটা স্বভাবের পাশাপাশি সে খুব কৌতুহলী। আজকাল শাফিনের কৌতুহল আগের চেয়ে অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে, অনেক জিনিস তাকে আজকাল খুব ভাবায়। যাক সেসব কথা। তখন সকাল ৯ টা বেজে ৩০ মিনিট, সকালের মিষ্টি রোদ শাফিন দের উঠানে পড়েছে। আজ কেনো যেন মনে হচ্ছে সূর্যের তেজ খুব প্রকট। সকালের রোদ টাই গায়ে লাগার মতো, চারিদিক রোদের আলোয় ঝকঝক করছে। শাফিন ওই মুহুর্তে চোখ ডলতে ডলতে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে, সে যেই ঘরে ঘুমায় সে ঘরের বারান্দায়। শাফিন দের মোট ৩ টা ঘর। গ্রামের বাড়িতে অঢেল জায়গা আর যৌথ পরিবারের জন্য বড় উঠানের ৩ পাশে ৩ টা বড় ঘর উঠানো হয়েছে আর আরেক পাশে গোয়াল ঘর। তার মানে ৪ পাশেই আটকানো আর মাঝে বিশাল উঠান। শাফিনদের ঘর গুলো সব গুলোই কাঠের দোতলা সিস্টেম, তার মধ্যে আবার একটা তিন তিলাও আছে, সেটাও কাঠের। তবে ঘর গুলোর নিচে আর দেয়াল পাকা করা। আর ৩ টি ঘরের নিচেই সামনে বিশাল পাকা করা খোলা বারান্দা যেগুলো বানানো হয়েছে জমির ফসল, মাল পত্র আর বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য। শাফিনদের অনেক ফসলি জমি আছে যার কারনে প্রতি বছর অনেক ফসল ওঠে শাফিনদের, আর সেগুলোর সব কাজ এ বাড়িতেই হয়। তখন যদিও অনেক অতিরিক্ত লোক রাখতে হয় কাজের জন্য। তবে এই বারান্দা গুলোতে সকালে আর সন্ধ্যার পরে কাজের শেষে আড্ডার আসর বসে, সকালেও একটা আমেজ থাকে কারন বড় ঘর টার এই বারান্দায় একটা খাবার টেবিল পাতা আছে, সেখানে যখন সবাই সকালের নাস্তার জন্য বসে তখন একটা আড্ডা এম্নিতেই হয়ে যায়। আর উৎসবের দিন গুলো তে এই বারান্দা গুলোতে আরো প্রাণ ফিরে পায়। শাফিন যে ঘর টাতে ঘুমিয়েছিলো সেই ঘরের দোতলায় শাফিন আর তার দাদী থাকে। মূলত তার দাদীর জন্যই শাফিন তার দাদীর ঘরে থাকে, তবে দুজনের বিছানা আলাদা, আর তার দাদীও শাফিন কে চোখের আড়াল করতে চান না। এই ঘরের আরেকটা রুমে শাফিনের বাবা মা ও থাকে। এই ঘরের আরেকটা রুমে থাকেন শাফিনের ফুপি তার ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে, তার কারন শাফিনের ফুফা বিদেশে থাকেন। এই ঘরের আরেকটা রুম বেশির ভাগ সময় খালি পরে থাকে, তার কারন ঘরটা শাফিনের বড় ভাইয়ের, যে এবার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এর উপর মাস্টার্স করতেছেন। যদিও ওই ঘরে শাফিনের বড় ভাই এখন ফুপিয়ে ঘুমাচ্ছে, তার কারন গতকাল গভীর রাতে তার বড় ভাই ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে ফিরেছে। শাফিন ঘুম থেকে উঠেই চোখ ডলতে ডলতে বারান্দায় মিষ্টি রোদের মধ্যে দাড়িয়ে লক্ষ করলো, তার ঠিক পাশের বড় ঘরের বারান্দায় বসে তার মা, বড় চাচী, আর মেজো চাচী তরকারি কাটছেন, আর দুপুরের রান্নার আয়োজন করছেন। আর তাদের পাশেই চেয়ারে বসে আছেন তার দাদী, যিনি তদারকি করছেন। আর তার পাশেই একটা বড় ডাইনিং টেবিল পাতা। যে ডাইনিং টেবিলে বসে তার ছোট চাচা নাস্তা করছেন। শাফিনের ছোট চাচা এখনো বিয়ে করে নি, উনিই বাড়ির ছোট ছেলে, ওনার বিয়েটাই এখন শুধু বাকি আছে। এই যে যেই ঘরের বারান্দায় এখন সবাই আছেন, এই ঘরের একটা রুমে থাকে শাফিনের বড় চাচা চাচী, আরেক রুমে থাকে শাফিনের মেজো চাচা চাচী, দোতলায় থাকে বড় চাচার দুই ছেলে যারা শাফিনের বড় ভাইয়ের চেয়েও বড়, আরেকটা রুমে থাকে শাফিনের বড় চাচার মেয়ে, মানে শাফিনের নিতু আপু, আরেকটা রুমে থাকে মেজো চাচার ছেলে যে এবার ইন্টার পরীক্ষা দিবে, আরেকটা রুমে থাকে মেজো চাচার মেয়ে রুপা, যার ডিভোর্স হয়ে গেছে সে তার ছোট দুই মেয়ে কে নিয়ে এ বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু রুপা আপু শাফিন কে খুব ভালো বলে, আর শাফিন ও সময় পেলে রুপা আপুর সাথে গিয়ে গল্প করে আর বাচ্চাদের সাথে গিয়ে খেলা করে। আর এই ঘরের পাশেই আরেকটা ঘর আছে যেখানে ধান উঠেছে বলে সেগুলো নিয়ে কাজ করছে কিছু লোক, যাদের ফসলের কাজ করার জন্যই রাখা হয়। শাফিন ঘুম থেকে উঠেই দেখলো ওই ঘর টার সামনে অনেক গুলো লোক মিলে ধানের কাজ করছে, এই সকাল বেলাতেও তারা সবাই কাজ করতে করতে ঘেমে গেছে। এই ঘরটাতে তার ছোট চাচা থাকে, যার এখনো বিয়ে হয় নি। আর এই ঘরের বেশির ভাগ রুম খালিই থাকে তাই মাঝে মাঝে যারা কাজ করতে আসে এ বাড়িতে তাদের থাকতে দেওয়া হয়। আর এ ঘরের বারান্দা তেও কাজের আর জমির জিনিস পত্রই বেশি থাকে। শাফিন চোখ ডলতে ডলতে ঘুম থেকে উঠেই দৌড় দিয়ে পাশের ঘরের বারান্দায় চলে গেলো যেখানে তার মা আর চাচীরা রান্নার আয়োজন করছিলো আর তার ছোট চাচা নাস্তা করছিলো, তার দাদীও সেখানে ছিলো। তাই তার দাদী তাকে দেখে ডাক দিলো, জিজ্ঞেস করলো, ঘুম হলো? শাফিন উত্তর দিলো হ্যাঁ দাদী ঘুম হয়েছে, ভাইয়া কাল কখন এসেছে? শাফিনের মা বললো, অনেক রাতে, প্রায় রাত ২ টার দিকে এসেছে। এরপর শাফিন তার ছোট চাচার পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলো, শাফিনের ছোট চাচা তখনো খাচ্ছিলো। শাফিন তার ছোট চাচাকে উদ্দেশ্য করে বললো, চাচা ঈদের তো আর মাত্র ৫ দিন বাকি আছে, গরু কিনতে যাবা কবে? তখন শাফিনের ছোট চাচা খেতে খেতে বললো আগামীকাল সকালে যাবো, বড় ভাইজান বলছে আগামীকাল সকালেই সবাই মিলে গরু কিনতে যাবো, তোর বড় ভাই ও চলে আসছে, সবাই মিলে যাওয়া যাবে। শাফিন লক্ষ করলো তার ছোট চাচা কিভাবে কতো দ্রুত খাচ্ছে, আর এতো দ্রুত খাওয়ার কারন হচ্ছে, শাফিনের ছোট চাচা খাওয়া শেষ করে এখন মাঠে যাবে, আর তখন শাফিনের বাবা মাঠ থেকে বাড়িতে আসবে ভাত খাওয়ার জন্য। শাফিনের বাবা ছোট চাচা আর মেজ চাচা সবাই মাঠে কাজ করে ফসলের জমিতে, নিজেদেরই ফসলের জমি এগুলো সব। শাফিন লক্ষ্য করল তার ছোট চাচা খেতে খেতে ঘেমে গিয়েছে, সাদা সেন্টু গেঞ্জি আর লুঙ্গি পরা তার ছোট চাচার বুকের পশম বেয়ে ঘাম পরছে, আর খাবার চিবানোর সময় মুখের শক্ত চোয়াল সহ ঘন চাপদাড়ি গুলো বার বার ওঠা নামা করছে। শাফিন তার চাচার খাবার মুখে দেওয়ার সময় লক্ষ্য করলো তার ছোট চাচার হাতের কবজি আর আঙ্গুল গুলো বেশ মোটা আর লম্বা লম্বা, দেখেই বোঝা যায় কোন খেটে খাওয়া মানুষের হাত। শাফিনের ছোট চাচা খুব কম কথা বলেন, প্রয়োজনের বেশি একটা কথাও বলেন না। ওই মুহুর্তেই শাফিনের বাবা চলে এলো মাঠ থেকে, এসেই দেখলো সবাই এক জায়গায় বসে আছে। শাফিনের বাবা শাফিনের মা কে উদ্দেশ্য করে বললো খাবার দেওয়ার জন্য, সকাল থেকে মাঠে কাজ করে অনেক ক্ষুধা লেগেছে। শাফিনের বাবা যে সকাল থেকে মাঠে প্রচুর পরিশ্রম করেছে তা তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। শাফিনের বাবার শরীর থেকে টপ টপ করে ঘাম ঝড়ছিলো, ঘেমে একেবারে লুঙ্গি আর গেঞ্জি ঘামে চুপ চুপে হয়ে তার শরীরের সাথে লেপ্টে ছিলো যার ফলে তার শরীরের অনেক অংশই বোঝা যাচ্ছিল বাইরে থেকে। এমন অবস্থায় তাকে দেখলে যে কোন মেয়ে মানুষেরই লজ্জা পাওয়ার কথা তাই তাকে দেখে বাড়ির অন্য বউরা মাথায় ঘোমটা টেনে নিলো। এরপর শাফিনের বাবা সবার সামনেই তার ঘামে ভেজা গেঞ্জি খুলে ফেললো আর সাথে সাথে তার এতো দিনের খেটে খাওয়া কালো মুগুরের মতো দানব আকৃতির শরীর টা বের হয়ে এলো। এরপর শাফিনের বাবা লুঙ্গি কাছা দিয়ে এসে বারান্দার সিড়িতে বসলেন, যে বারান্দায় এতো সময় শাফিনের মা আর চাচীরা রান্নার আয়োজন করছিলো, চেয়ার পেতে শাফিনের দাদী বসে ছিলো, আর ঠিক পাশেই শাফিনের ছোট চাচা খাচ্ছিলো। শাফিন দেখলো তখনও তার বাবার শরীর থেকে টপটপ করে ঘাম ঝরছে। তখন শাফিনের দাদি সাফিনের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললো যা ঘর থেকে শরীরটা জুড়িয়ে আয়। শাফিনের বাবা বললো না মা থাক, এখন আর লাগবে না, খেয়েই আবার বের হতে হবে। ওই সময় শাফিনের বাবার ওই অবস্থা দেখে শাফিনের চাচীরা সবাই রান্না ঘরে চলে গেলো রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে আর শাফিনের মা শাফিনের বাবাকে খাবার দিতে লাগলো শাফিনের চাচার পাশে টেবিলে। ততক্ষণে শাফিনের চাচার খাওয়া শেষ হয়ে গেছে, শাফিনের চাচা খেয়ে গেঞ্জিটা খুলে গায়ে একটা গামছা চাপিয়ে মাঠে চলে গেলেন কাজ করার জন্য। এরপর শাফিন দেখতে লাগলো তার বাবারও খাবার সময় শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরছে টপটপ করে, শাফিনের বাবার শরীর এতোটা ঝাঝালো যে শাফিন বেশি সময় তার বাবার শরীরের দিকে তাকাতে পারছিলো না। এরপর তার বাবা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মাঠে চলে গেলেন কাজ করার জন্য। শাফিনের মা আর তার চাচীরা চলে গেল রান্নাঘরে রান্না করার জন্য। আর শাফিনের দাদি ওখানেই একটা চেয়ারে বসে খবরের কাগজ পরতে লাগলো। সাফিনও সেখানে একটা চেয়ার পেতে বসে দেখতে লাগলো পাশের ঘরের সামনে কিভাবে লোক গুলো ধানের কাজ করে চলেছে এই গরমের রোদের মধ্যে। টোটাল ৫ জন পুরুষ তাদের ও পরনে তেমন কিছু নেই, শুধু লুঙ্গি, তাও প্রায় সবার লুঙ্গিই কাছা দেওয়া, কারন তারা রোদের মধ্যে ঘাম ঝড়িয়ে কাজ করছে। আর শাফিন বসে বসে তাদের শরীরের ঘাম, বুকের পশম, শক্ত পেশিবহুল কালো মাসেল আর বের করে রাখা বড় বড় থাই দেখছে, কখনো কখনো কাজ করার ফাকে শাফিন তাদের বড় বড় পুরুষাঙ্গ টাও আচ করতে পারছে লুঙ্গির ভেতর দিয়েই, কারন কাজ করার সময় এমন হয় অনেক সময় আমরা সবাই জানি। কিন্তু শাফিন আসলে কি চায়, তার ঠিক কি করতে ইচ্ছা করে, আর সে কি করবে তা সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, তাই এই নিয়ে শাফিন সব সময় একটা দ্বিধা দন্দের মধ্যে থাকে। যাইহোক শাফিনের মনে হলো এখন তার একটু তার ফুপির রুম থেকে ঘুরে আসা উচিত, তাই সে তার ফুপির রুমে দৌড় দিয়ে চলে গেল তার ছোট ছোট ফুফাতো ভাই বোনদের সাথে খেলা করার জন্য। এরপর শাফিন দৌড়ে দৌড়ে চলে গেল তাই নিতু আপুর রুমে, গিয়ে দেখে নিতু আপু বই পড়ছে। শাফিনের নিতু আপু সারাদিন রাত উপন্যাস পড়ে কাটায়, কিছুদিন আগেই উনি ওনার পড়াশোনা শেষ করেছেন, এখন ওনার বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে। নুতু আপু শাফিনকে দেখে বলল কিরে শাফিন দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াচ্ছিস কেন? একটা বই পড়বি নাকি? তখন শাফিন বলল তুমি সবসময় এমন পড়া পড়া করো বলেই আমার তোমার রুমে আসতে ইচ্ছা করে না। তখন শাফিনের নিতু আপু বললো তারপরেও তো আসিস। শাফিন বললো তোমার বই গুলো আমার উপর থেকে দেখতেই ভালো লাগে তাই আসি। এরপর ওখানে কিছু সময় থেকে শাফিন দৌড় দিয়ে চলে গেল তার রুপা আপুর রুমে, শাফিন সারাদিন এমন তিড়িং বিড়িং করতেই থাকে, এটাই ওর কাজ। রুপা আপুর রুমে যাওয়ার সময় শাফিন তার বড় চাচার দুই ছেলের ঘরে একটু উকি দিলো, শাফিন দেখল ঘরে কেউ নেই ঘর ভরা সবকিছু ছড়ানো ছেটানো এলোমেলো অগোছালো, আর ঘর থেকে বিশ্রি সিগারেট এর গন্ধ, বড় চাচার এই ছেলে দুইটা ভীষণ বখাটে, না পড়াশোনা করেছে না কাজ করে, শুধু বাইক নিয়ে দুজন টই টই করে আর মস্তানি করে বেড়ায়। আর পাড়ার মোড়ে বাইক নিয়ে বসে থেকে মেয়েদের বিরক্ত করে, আর এজন্য বাড়িতে অনেক নালিশ ও এসেছে। বয়স ২৭/২৮ হলেও দুজন খুব বাজে মানুষের সাথে মেলামেশা করে, আর সেই সাথে লুকিয়ে গাজা খাওয়া তো আছেই, এমন আরো অনেক কিছু আছে যা শুধু শাফিনের চোখেই ধরা খায়। শাফিন তাদের অনেক সিক্রেট জানে, আর তাই তারা দুই ভাই শাফিনকে মাঝে মাঝে ঘুস ও দেয়। এটা শাফিনের এক্সট্রা কামাই। শাফিন খুব দুরন্ত আর চালু প্রকৃতির। আর দেখতেও তেমন সুন্দর, যেমন তার গায়ের রঙ তেমন তার স্বাস্থ, মনে হয় যেনো শাফিনকে চিমটি কাটিলে শরীর থেকে জব জব করে রস ঝড়বে। এরপর শাফিন তার রুপা আপুর রুমে গিয়ে তার দুই মেয়ের সাথে খুনসুটি করে দৌড়ে দৌড়ে নিজের রুমে যাচ্ছিলো, তখন প্রায় ২ টা বেজে গেছে, ওই মুহূর্তে পেছন থেকে তার ভাইয়া তাকে ডাক দিলো, শাফিন পিছনে তাকিয়ে দেখে তার ভাইয়া লুঙ্গি পরে খালি গায়ে গামছা গলায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, শাফিন তার ভাইয়ার দিকে ফিরে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইলো, তার কারন শাফিনের ভাইয়া পুরো নায়ক দের মতো দেখতে, যেমন তার জিম করা লম্বা চওড়া শরীর তেমন লম্বা লম্বা বড় চুল মাঝখানে সিথি করা, আর তেমন গায়ের রঙ। শাফিন মনমুগ্ধ ভাবে তার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে ছিল। এরপর তার ভাইয়ার ডাকে সাফিনের হুস ফিরলো। শাফিনের ভাইয়া শাফিনকে উদ্দেশ্য করে বলল, চল নদীতে গোসল করতে যাবি আমার সাথে, আজ তোকে সাঁতার শিখাবো। এ কথা শুনেই যেনো শাফিনের ভয়তে হার্টবিট বেড়ে গেল, তার কারণ শাফিন পানিকে ভয় পায়। এরপর শাফিন তার ভাইয়ার সাথে নদীতে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে এলো। এরপর দুই ভাই মিলে নদীর দিকে যাওয়া শুরু করল। যেতে যেতে সাফিনের ভাইয়া শাফিনকে জিজ্ঞেস করল, কিরে? আজকাল তুই পড়াশোনা করিস? নাকি শুধু দৌড়াদৌড়ি করে বেড়াস? তখন শাফিন বলল, এহহহহ ভাইয়া আমি মোটেও দৌড়াদৌড়ি করি না, আমি অনেক শান্ত একটা বাচ্চা। তখন শাফিনের ভাইয়া বলল, হ্যাঁ কি যে শান্ত তা তো দেখতেই পাচ্ছি, এসে পর থেকে তোর দেখাই পেলাম না, সারাক্ষণ শুধু এঘর ও ঘর আর ছটফট করা। শাফিন তখন জানতে চাইলো, ভাইয়া তুমি এত বড় বড় মাসেল আর স্ট্রং বডি কিভাবে বানালে? তখন শাফিনের ভাইয়া উত্তর দিল জিম করে আর ফুটবল খেলে বানিয়েছি, তুই বড় হ তোরও হবে। কথা বলতে বলতে তারা নদীর ঘাটে চলে এলো। নদীতে কোন লোকজন নেই পুরো শুন শান আর খা খা করা রোদ। শাফিন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রইলো, আর শাফিনের সামনেই তার ভাইয়া পট করে লুঙ্গিটা খুলে ফেললো। তখন শাফিন দেখল তার ভাইয়া লুঙ্গির নিচে একটা টু কোয়াটার জার্সি প্যান্ট পড়ে আসছেন গোসল করার জন্য, যার উপর দিয়েই ভাইয়ার বিশার পুরুষাঙ্গটা শাফিন বুঝতে পারছিলো। এরপর শাফিন তার ভাইয়ার হাত ধরে ধরে আস্তে আস্তে নদীতে নামলো। অনেক খানি নামার পর ভয় পেয়ে শাফিন তার ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে, আর জড়িয়ে ধরেই শাফিন বুঝতে পারলো তার ভাইয়ার শরীর টা কতোটা শক্ত আর তার ভাইয়ার মাসেল গুলো কতো ভারি। শাফিন তার ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে আরও একটা জিনিস বুঝতে পারল আর সেটা হল, শাফিনের ভাইয়ার বিশাল পুরুষাঙ্গ শাফিনের শরীরের সাথে লেপ্টে ছিল। এরপর শাফিনের ভয় পাওয়া দেখে তার ভাইয়া তাকে কোলে নিয়ে আস্তে আস্তে নদীর আরো গভীরে নামতে লাগলো। এরপর শাফিনের ভাইয়া শাফিনকে তার দুহাতের উপর আস্তে আস্তে সাঁতার কাটতে বলল, শাফিন এভাবে তার ভাইয়ার দুহাতের উপর কিছু সময় সাঁতার কেটে আবার ভয়তে তার ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে তার ভাইয়ার কোলে উঠে কোমড় পেচিয়ে ধরলো। তখন শাফিন আবার তার ভাইয়ার বিশাল পুরুষাঙ্গ টা তার শরীরের সাথে টের পেলো। এভাবে অনেক সময় চলার পর শাফিন লক্ষ্য করল তার ভাইয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে শাফিনের খুব ভালো লাগছে, তাই শাফিন বার বার সাতার কাটা রেখে তার ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরতে লাগলো, তার ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরতে শাফিনের এতো ভালো লাগছিলো যে এবার শাফিন তার ভাইয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ভাইয়ার বুকের হালকা পশমের মধ্যে নিজের নাক ঘসতে শুরু করলো আর ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে ভাইয়ার বিশাল পুরুষাঙ্গের সাথে নিজের শরীর ঘস্তে লাগলো, এভাবে ঘস্তে ঘস্তে শাফিনের যেনো কেমন লাগছিলো, যা এর আগে শাফিনের কোনদিন লাগে নি, তাই এভাবে অনেক সময় ধরে ঘস্তে ঘস্তে শাফিন তার ভাইয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তার ভাইয়ার ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দিলো আর শাফিনের মনে হতে লাগলো তার নুনু দিয়ে কি কি যেনো ঠেলে বেড় হয়ে আসতে চাইছে, এক পর্যায়ে শাফিন বুঝতে পারলো সে তার ভাইয়াকে কামড়ে ধরে মুতে দিয়েছে পানির মধ্যে। পরে শাফিন এটা ভেবে সস্তি পেলো যে পানির মধ্যেই তো হয়তো মুতেছি, যাক ভাইয়া টের পাবে না, কিন্তু তখন শাফিনের অনেক ভালো লাগছিলো, নিজেকে অনেক হালকা মনে হচ্ছিলো যা এর আগে শাফিন এর আর কোনদিন হয়নি। তখন শাফিন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো তাই দেখে সাফিনের ভাইয়া জিজ্ঞেস করলো, কিরে কি হলো তোর? শরীর খারাপ লাগছে? তখন শাফিন বললো হ্যাঁ ভাইয়া শরীর খারাপ লাগছে বাড়ি যেতে চাই। তখন শাফিনের ভাইয়া শাফিনকে কোলে নিয়েই আর কয়েকটা ডুব দিয়ে উপরে উঠে এলেন। এরপর শাফিনকে কোল থেকে নামিয়ে নিচে দাড় করালেন, শাফিন তখন লক্ষ করলো ভেজা জার্সি প্যান্ট এর উপর দিয়ে তার ভাইয়ার বিশাল পুরুষাঙ্গ টা একদম বোঝা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে যেনো এটা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি ঠাটিয়ে আছে। এরপর শাফিনের ভাইয়া প্যান্ট পালটে শরীর মুছে গামছা পড়ে শাফিনকে নিয়ে বাড়ি চলে এলো। শাফিন নিজের ঘরে ঢুকে প্যান্ট পাল্টাতে গিয়ে দেখলো তার নুনু দিয়ে তখন মুত বের হয় নি, পিছলা পিছলা আঠা আঠা কি যেনো বের হইছে, তা তার নুনুর মাথায় আর প্যান্টে এখনো অল্প অল্প লেগে আছে। এসব আসলে কি তা তখন শাফিন কিছুই বুঝলো না। জামা প্যান্ট পড়ে শাফিন বাইরে এসে দেখলো তাদের বাড়িতে ধানের কাজ করা সেই ৫ জন শ্রমিক গামছা পড়ে তাদের কল পাড়ে মগ আর বালতি দিয়ে গোসল করতেছে। গোসল শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে তারা আবার কাজ শুরু করবে তাই। শাফিন লক্ষ করলো সবাই গামছা পড়ে গোসল করতেছে আর গামছার উপর দিয়ে সবার পুরুষাঙ্গই বোঝা যাচ্ছে, কারোটা বেশি বোঝা যাচ্ছে, কারোটা কম বোঝা যাচ্ছে। কারন আরোটা একটু দাঁড়িয়ে আছে, আর কারোটা একটু শুয়ে আছে। এসময় বাড়ির কোন মেয়েছেলে এদিকে নেই, সবাই যে যার ঘরে আর রান্নাঘরে। ওনারা গোসল করে ঘরে চলে গেলেন, ৩ নাম্বার ঘর টা তে যেটা তে শাফিনের ছোট চাচা থাকেন আর মাঝে মাঝে শ্রমিক রাও থাকে। ওই ঘরেই শ্রমিক দের খাবার দেওয়া হলো। এর পরেই শাফিনের বাবা আর মেজো চাচা মাঠ থেকে কাজ করে ঘেমে বাড়িতে ফিরলেন, ওনারা দুজনেই খুব লম্বা আর শক্তপোক্ত সুপুরুষ। এরপর শাফিনের বাবা আর মেজো চাচা তাদের ঘামে ভেজা লুঙ্গি আর গেঞ্জি খুলে গামছা পড়ে নিলেন কল পাড়ে গোসল করার জন্য। শাফিন কে দেখে তার বাবা বললেন, তাদের দুজনের জন্য ঘর থেকে লুঙ্গি নিয়ে আসার জন্য যা তারা গোসল করে পড়বেন। শাফিন দৌড়ে গিয়ে লুঙ্গি নিয়ে এলো, লুঙ্গি নিয়ে এসে শাফিন দেখে তার বাবা আর মেজো চাচা গপ গপ করে গায়ে পানি ঢালছেন। এরপর তারা দুজনেই তাদের শরীরে সাবান মাখাতে শুরু করলেন, শাফিন দেখতে লাগলো কিভাবে তার বাবা আর চাচা তাদের খেটে খাওয়া পাকা মজবুত শরীরে সাবান মাখাচ্ছে, কিভাবে তারা তাদের বুকের পশম আর বগলের পশম সাবান দিয়ে ডলছে। শাফিন তখন লক্ষ করলো ভেজা গামছার উপর দিয়ে তার বাবা আর তার চাচার দুজনের পুরুষাঙ্গই বোঝা যাচ্ছে, যা সাবান মাখানোর ফলে এপাশ ওপাশ দুলছে। গামছার উপর দিয়ে নেতানো ধোন দেখেই শাফিন হা হয়ে গেলো, যে এতো বড় নুনু ও হতে পারে! শাফিন তা ভাবতেই পারে নি। বিশেষ করে তার বাবার টা, তার বাবা গামছার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে বাড়ায় সাবান ঘসছিল, যার ফলে হয়তো একটু দাঁড়িয়ে গেছে আর তার বাবার টা এম্নিতেও অনেক বড়, যা শাফিন গামছার উপর দিয়েই বুঝতে পারছিলো। বয়স্ক পুরুষ মানুষের পাকা বাড়া বলে কথা, তার উপর সারাদিন রাত মাঠে পরিশ্রমের কাজ করা। শাফিনের এমন ব্যাডাদের গোসল করা আর ব্যাডাদের শরীর দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক এরপর দুপুরে সবাই এক সাথে খেতে বসলো বড় ঘরের ভেতরের ডাইনিং এ। সবাই এক সাথে খেয়েছিলো শুধু বড় চাচার দুই বখাটে ছেলে বাদে। কারন তারা এখনো বাড়িতেই ফিরে নি। তারা বাড়িতে ফিরেছিলো বিকাল ৫ টার দিকে, আর তখন তাদের শরীর থেকে প্রচুর সিগারেট এর গন্ধ বের হচ্ছিলো। যাই হোক এরপর সন্ধ্যার পর সবার কাজ শেষে সবাই বড় ঘরের বারান্দায় এক সাথে আড্ডার আসর বসালেন, যেখানে সবাই নানা রকম গল্প করছিলো। আর তখন শাফিন তার ছোট চাচার কোলে গিয়ে বসে সবার কথা শুনছিলো, তখন শাফিনের ছোট চাচা শুধু লুঙ্গি পড়া ছিলো, শাফিনের খুব ভালো লাগে তার ছোট চাচার কোলে বসে, তার শরীরের সাথে লেগে থাকতে আর তার ছোট চাচার শক্ত শরীর টা উপভোগ করতে। শাফিনের ফুপির ছেলে মেয়ে আর রুপা আপুর দুই মেয়ে উঠানে দুস্টামি করছে, আর শাফিনের দাদী পান চিবাচ্ছে। শাফিনের বড় চাচার দুই ছেলে তাদের ঘরেই ছিলো এতো সময়, এখন সবার সামনে দিয়ে বাইক নিয়ে বের হলো দুজন। এরা দুজন কারো কথাই শোনে না, তাই আর কেউ এদের এখন তেমন কিছু বলেও না। আজকে সন্ধ্যার পরের বাড়ির এই আলোচনায় সবাই উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত নেই শাফিনের সেজো চাচার পরিবার। যে একজন নৌবাহিনী অফিসার, শাফিনের এই সেজো চাচা পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থাকেন, তার ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়ে। এবারের ঈদে তারা কেউই আসতে পারবেন না তার কারন তার সেজো চাচার ছুটি নেই। যাইহোক, তারপর সন্ধ্যার এই আলোচনায় ঠিক হলো আগামীকাল তারা কোরবানির জন্য গরু কিনতে যাবেন। ঠিক হলো শাফিনের বাবা, মেজো চাচা, ছোট চাচা আর শাফিনের ভাইয়া আগামীকাল গরু কিনতে যাবেন, শাফিন মাঝখান থেকে উঠে বললো আমিও যাবো, তখন শাফিনের বাবা বললো, তুমি তো যাবাই বাবা। এটা শুনে শাফিন তার ছোট চাচার কোলে বসে আহ্লাদে গদ গদ হয়ে ছোট চাচাকে জড়িয়ে ধরলো, ছোট চাচা তেমন একটা রিয়েকশন দিলো না, জাস্ট শাফিনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বসে ছিলো। শাফিন তার পাছার নিচে শক্ত শক্ত কিছু একটা টের পেলো। হয়তো শাফিনের কোলের মধ্যে এতো নড়াচড়ায় ছোট চাচার অবস্থা চরমে তাই হয়তো ছোট চাচা খুব একটা কথা বলছিলো না। মাঝখান থেকে শাফিনের মেজো চাচা উঠে বললো, বাড়িতে একটা কাজের ছেলে আনতেই হবে এখন, গত ১ মাস ধরে বাড়িতে কাজের লোক নেই। এখন সামনে কোরবানি বাড়িতে অনেক কাজ। রাখলে এখনই একটা কাজের ছেলে রাখা উচিত যে বাড়ির সব কাজ করার পাশাপাশি মাঠের কাজেও আমাদের সাথে হাত লাগাবে। তখন সাফিনের বাবা বলল একটা ছেলের খোঁজ পেয়েছি, ছেলেটার বাবা মা নেই, এতিম একটা ছেলে। আপনজন বলতে কেউ ই নেই। ছেলেটার দুঃসম্পর্কের এক চাচা আমাকে বলল ছেলেটা কাজের সন্ধান করছে, এমন কোন বাড়িতে কাজ করতে চায় যেখানে থেকে খেয়ে কাজ করতে পারবে। এমনিতে ভারি যেকোন কাজ পারবে, অনেক কর্মোঠ ছেলে, আগে ইটের ভাটায় কাজ করেছে, বয়স ২৩ কি ২৪ হবে। তখন শাফিনের মেজো চাচা বলে উঠলো, তাহলে আমাদের বাড়িতেই করুক আমাদের বাড়িতে তো ঘর খালিই আছে থাকার জন্য, কাজ করবে খাবে আর ওই ঘর থেকে একটা রুম দিয়ে দিবো ঘুমাবে, রাতে শ্রমিকদের তদারকি ও করতে পারবে। শাফিনের দাদী এ কথায় সায় দিলো। এভাবে রাত দশটা পর্যন্ত সবাই আলোচনা করলো আর সাফিন তত সময় তার ছোট চাচার কোলেই বাসা ছিল। এরপর সবাই রাতের খাবার খেয়ে যে যার ঘরে ঘুমাতে গেল। সকাল বেলা শাফিনের ছোট চাচা দুইটা বাইক বের করলো, শাফিনদের মোট ৩ টা বাইক, ১ টা শাফিনের ভাইয়ার, ১ টা শাফিনের ছোট চাচার আর একটা বড় চাচার দুই ছেলের। এখন সবাই গরু কিনতে যাবেন, ১ টা গাড়িতে শাফিন, তার ভাইয়া আর তার ছোট চাচা উঠেছে, আরেকটা তে তার বাবা আর মেজো চাচা উঠেছেন। শাফিন যেটাতে উঠেছে সেটাতে শাফিনের ভাইয়া গাড়ি চালাবে, শাফিন মাঝে বসেছে আর পিছনে উঠেছে শাফিনের ছোট চাচা। আর ওইটাতে শাফিনের বাবা গাড়ি চালাবে আর পিছনে উঠেছে শাফিনের মেজো চাচা। গরু কিনতে যাওয়ার সময় শাফিন গাড়িতে বসে তার ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলো, আর অনুভব করলো তার ভাইয়ার জিম করা শরীর। শাফিনের ভাইয়া কিছুই বললো না বরং তার ভালো লাগলো, এরপর রাস্তা খারাপ হওয়ায় একটা ঝাকুনি লাগায় শাফিনের ছোট চাচা শাফিনকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন, এম্নিতেই শাফিনের ছোট চাচার বুকে থাকতে শাফিনের ভালো লাগে, তাই শাফিন তার ছোট চাচার হাত চেপে ধরলো তার বুকের উপর, তখন শাফিন তার ছোট চাচার পশমে ভরা বুক থেকে একটা বুনো গন্ধ পেলো নাকে। এভাবে অনেক সময় পর তারা গরুর হাটে পৌঁছে গেল আর তারপর সেখান থেকে শাফিনের ভাইয়া বাবা আর চাচারা দামাদামি করে শাফিনের পছন্দ মতো একটা লাল গরু কিনে বাসায় ফিরলেন। গরু নিয়ে বাসায় ফিরে সবাই দেখে বাড়িতে একটা নতুন ছেলে এসেছে কাজের জন্য, যা দেখে সবাই একটু সস্তির নিঃস্বাস ফেলে। শাফিন লক্ষ করলো ছেলেটার বয়স হবে তার ভাইয়ার মতো, ছেলেটা বেশ লম্বা আর শুকনা তবে শক্ত পোক্ত ধরনের, দেখলেই বুঝা যায় ছেলেটার ভারি কাজ করার অভ্যাস আছে। তবে ছেলেটা বেশি ফর্সা না হলেও তার চেহারায় একটা মায়াবী ভাব আছে, সাথে দাড়ি আর চুলের কাট সুন্দর। দেখে বোঝা যায় না ছেলেটা এতিম। ছেলেটাকে এ বাড়িতে ১ম যে কাজ টা দেওয়া হলো, তা হলো গরুর খেদমদ করা। আর শাফিন ও সারাদিন গরুর পিছনেই তাল দিচ্ছিলো। তাই শাফিন ছেলেটাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছে আর শাফিন ও ছেলেটাকে খুব দেখছে। ছেলেটা খুব কম কথা বলে, ওর নাম তমাল। তমাল মাঠ থেকে বড় এক আটি ঘাস কেটে মাথায় করে এনে গরুর পাশে রাখলো। তমাল গরুটিকে খাওয়াচ্ছিলো, তখন শাফিন প্রথম নিজে থেকে আগে কথা বললো ছেলেটার সাথে। শাফিন জানতে চাইলো, আপনি এত্তো লম্বা কেনো? ছেলেটা হা হা করে হেসে উত্তর দিলো, তুমি এতো বাচ্চা কেনো?
তখন শাফিন রাগ দেখিয়ে বললো, আমি বাচ্চা না আমি বড় হয়ে গেছি। তখন তমাল বললো, তাই? শাফিন বললো হ্যাঁ, এই দেখো আমার মাসেল, এই বলে শাফিন গেঞ্জি তুলে নিজের হাতের মাসেল দেখালো। তখন তমাল আবারো হা হা হা করে হেসে শার্ট উঠিয়ে নিজের বাইসেপ্স শক্ত করে দেখালো, বিশাল বাইসেপ্স আর স্ট্রং। শাফিন ধরে দেখলো আর বললো আমার ভাইয়ার ও আছে, আমার ভাইয়া জিম করে। তখন তমাল বললো, আর আমার জিম না করেই, ন্যাচারাল। শাফিন বললো, জিম না করেই কিভাবে হলো? তখন তমাল বললো, ইটের ভাটায় কাজ করে দেখো তোমার ও হবে। শাফিন বললো, ইটের ভাটায় কাজ করতে আপনার কষ্ট হয় নি? তমাল বললো, কষ্ট হলেই কে দেখবে আমার তো কেউ নেই। তখন শাফিন বললো আমি তো আছি।
Post a Comment